আনন্দময় কাজের সন্ধানে - ৮ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ১ম অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ । Class 8 Jibon o Jibika Solution Chapter 1 PDF

Admin
0

Class Eight Jibon o Jibika Solution Chapter 1 PDF 2024 - অষ্টম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ১ম অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ

আনন্দময় কাজের সন্ধানে - ৮ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা ১ম অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ । Class 8 Jibon o Jibika Solution Chapter 1 PDF

আনন্দময় কাজের সন্ধানে

ক্ষুদ্র হউক, তুচ্ছ হউক, সর্ব সরম-শঙ্কাহীন-
কর্ম মোদের ধর্ম বলি কর্ম করি রাত্রি দিন।
আজকে আমরা যা করছি, তার ওপর নির্ভর করে আমাদের আগামীকাল। কবিতায় যতীন্দ্রমোহন বাগচী তাই কাজকেই বলেছেন ধর্ম। তবে পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার শর্ত হিসেবে কাজকেই অনিবার্য হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং নিজের সৌভাগ্যকে ডেকে আনার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তবে সকল কাজই আমাদের করতে হবে আনন্দ আর স্বতঃস্ফূর্ততা নিয়ে।
 

পৃথিবীর কঠিনতম কাজের মধ্যে একটি হলো- পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা। মনে করো, পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার প্রতি তোমার প্রবল আগ্রহ; তাই তুমি যদি কখনও পাহাড়ে ওঠার সুযোগ পাও তাহলে দেখবে, সারা দিন বিপজ্জনক পথে পাড়ি দেওয়ার পরও সাফল্যের উত্তেজনায় কষ্টটা মনে থাকছে না। বরং পরদিন সকালে উঠে আবারও পাহাড়ের কঠিন বরফ আর হিমবাহ ঠেলে ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছ। পাহাড়ে ওঠার এত শারীরিক পরিশ্রম সত্ত্বেও কোনো ক্লান্তি বা অবসাদ তোমাকে স্পর্শ করতে পারছে না! অর্থাৎ কাজের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরকে যেকোনো কষ্ট সহ্য করার জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাই কাজের ব্যস্ততা ও কঠোর পরিশ্রমের পর দিনশেষে কখনই বলা যাবে না, খুব ক্লান্তি লাগছে; বরং নিজেকে বলতে হবে- 'আমি মোটেই ক্লান্ত নই।' এতে প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং মনের অবসাদ দূর হবে।


'নিজ হাতে করি কাজ, নেই তাতে কোনো লাজ' এই চরণটি আমাদের সবার মনে আছে, তাই না? আমরা সবাই বিশ্বাস করি- নিজের হাতে কাজ করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবারে সুখ-শান্তিও বিরাজ করে। একইভাবে বিদ্যালয়ের পরিবেশকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক রাখার জন্য আমাদের যা কিছু করণীয়, সেগুলো নিয়মিত করলে বিদ্যালয়ে কাটানো সময়টুকু আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। এভাবেই ছোট পরিসরে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ আচরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠব। ব্যক্তি হিসেবে সমাজে তখন আমাদের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাবে; এই প্রয়োজনের কারণেই একসময় আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আমরা সবাই এই পথেই হাঁটতে চাই!


ছক ১.১: সমাধান/উত্তর

ছক ১.১: সমাধান/উত্তর

আনন্দময় কাজের সন্ধানে


১. যেসব 'নিজ কাজ' আমি নিয়মিত করি: নিজের বিছানা নিজে গোছানো, নিয়মিত খেলাধুলা করা, নিজ খাবার খাওয়া, দাঁত ব্রাশ করা, মোবাইলে গেমস খেলা।

২. যেসব 'পারিবারিক কাজ' আমি নিয়মিত করি: রান্নার কাজে সাহায্য করা, ঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা, থালা বাসন ধোঁয়া, মা-বাবার যত্ন করা, ছোট ভাইদের যত্ন করা।

৩. বিদ্যালয়ের যেসব কাজ আমি নিয়মিত করি: বিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মচারী ও সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, শিক্ষককে সকল কাজে সহায়তা করা, ক্লাস রুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, সহপাঠীদের সাহায্য করা, শিক্ষকের ক্লাস মনোযোগ সহকারে করা।

৪. সমাজের যেসব কাজ আমি নিয়মিত করি: গাছ লাগানো, রাস্তাঘাটে ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করা, সমাজের কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করা, সকল স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা, পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে সহায়তা করা, সমাজের ক্ষতি হয় সেসব বিষয় সম্পর্কে সমাজে সকলকে অবগত করা।

৫. অভিবাবকের মতামত ও স্বাক্ষর: নিয়মিত কাজগুলো করতে গিয়ে আমি যা অনুভব করছি তা হলো:- প্রথমত আমি অনুভব করেছি নিজের কাজ নিজে নিয়মিত করলে সময় অপচয় হয়না। এছাড়াও বিদ্যালয়ে নিয়মিত কাজ করাতে সবাই আমাকে ভালোবাসে যা আমাকে ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ দেয়। পারিবারিক কাজগুলো নিয়মিত করার কারণে পরিবারের সদস্যদের কষ্ট লাঘব হয় মা বাব কে সন্তুষ্টি দেয়। এটার কারণে আমার অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। তাছাড়া সমাজের কাজগুলো নিয়মিত করার কারণে সকলেই সমাজের লাভক্ষতি সম্পর্কে অবগত হচ্ছে ফলে সবাই সমাজের উন্নতি নিয়ে ভাববে যা সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

একক কাজ
তুমি তোমার পরিবারের যেসব কাজে সহযোগিতা করো, সেখান থেকে আর্থিক কাজগুলো শনাক্ত করে তালিকাটি পূরণ করো এবং এর আনুমানিক আর্থিক (সাপ্তাহিক/মাসিক হিসেবে) মূল্য নিরূপণ করো।

ছক ১.২: সমাধান/উত্তর
  • ছক ১.২: পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহযোগিতামূলক কাজের তালিকা হলো:-
পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহযোগিতামূলক কাজের তালিকা হলো


পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহযোগিতামূলক কাজের তালিকা হলো:-
আর্থিক সহযোগিতামূলক কাজ = সম্ভাব্য আয় (আনুমানিক আর্থিক মূল্য)
১. নিজের কাপড় নিজে ইস্ত্রি করা = ৬০০/-
২. স্কুলে হেটে যাওয়া = ৭০০/-
৩. পরিবারের বিভিন্ন কাজে শ্রমিকের বদলে নিজে করা = ৪,০০০/-
৪. টিফিনের সময় বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ি থেকে খাবার বানিয়ে নেওয়া = ৭০০/-
৫. অপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় না করা = ৩৫০/-
৬. গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া = ৩০০/-
৭. নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করা = ৫০০/-
৮. অনলাইন প্লাটফর্মে কন্টেন্ট তৈরি করা = ৪০০/-
মোট আয় = ৭৫৫০/-

দলগত কাজ
দৃশ্যপট ১ এর মতো নিজেদের এলাকায় প্রসার ও প্রচলন রয়েছে এমন কয়েকটি পণ্য, কৃষ্টি বা ঐতিহ্য খুঁজে বের করো। সেগুলোর মধ্যে এমন কিছু আছে কি না, যা দিয়ে তোমাদের বয়সী কেউ ইচ্ছা করলে নতুন কোনো আইডিয়া তৈরি করতে পারে এবং তা থেকে পরিবারের আর্থিক কাজে সহায়তা করতে পারে? দলের সবাই মিলে আলোচনা করে এরকম একটি তালিকা বানাও।

৪ নং পৃষ্ঠার দলগত কাজের উত্তর:

দৃশ্যপট-১: দলগত কাজ
আমাদের এলাকা বস্ত্র শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এই বস্ত্র শিল্প থেকে আইডিয়া নিয়ে আমরা অনেকেই নতুন কিছু তৈরি করতে পারি। এতে আমাদের আর্থিক স্বচ্ছলতাও আসবে। এরকম কিছু নতুন আইডিয়া হলো-
১। নকশা করা কাঁথা।
২। হাতে বোনা ওড়না।
৩। হাতে বোনা রোমাল।
৪। বাচ্চাদের জামা।
৫। নকশা করা বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড়।


দলগত কাজ
দৃশ্যপট ২ ভালোভাবে পড়ো। সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর সাজাও-
ক) মুক্তাদের বাড়িতে এমন ঘটনা কেন ঘটছে বলে মনে করো?
খ) কী করলে এরকম সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়?
গ) পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বারবার কেনা হলে/ক্রয় করলে কী কী অসুবিধা হয়?
ঘ) পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মাসিক/সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কিনলে কী কী সুবিধা হয়?
৫ নং পৃষ্ঠার দলগত কাজের উত্তর:

দৃশ্যপট-২: দলগত কাজ
ক) মুক্তাদের বাড়িতে এমন ঘটনা কেন ঘটছে বলে মনে করো?
উত্তর: মুক্তাদের বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটার কারণ হচ্ছে পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনার অবহেলা। কেননা মুক্তা ও তার বাবা যা-ই রান্না করতে চায়; সেই রান্নার মজুদে ঘাটতি দেখা যায়।
খ) কী করলে এরকম সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়?
উত্তর: মাসের শুরুতে বাজেট অনুযায়ী পারিবারিক মাসিক বাজার করলে মুক্তার বাসার এই সমস্যা হতে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

গ) পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বারবার কেনা হলে/ক্রয় করলে কী কী অসুবিধা হয়?
উত্তর: পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বার বার কেনা হলে বহু সমস্যা দেখা যায়। প্রায়ই দেখা যাবে প্রয়োজনীয় পণ্যটি ভুলে কেনা হয়নি, দরকারের সময় ঘাটতি দেখা দিবে। এছাড়া বারবার কিনলে আর্থিকভাবেও প্রভাব পড়বে।

ঘ) পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মাসিক/সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কিনলে কী কী সুবিধা হয়?
উত্তর: পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মাসিক/সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কিনলে যেসব সুবিধা হয় সেগুলো হলো:
১। অর্থের অপচয় হয় না।
২। সময় সাশ্রয় হয়।
৩। পরিবহন খরচ সাশ্রয় হয়।
৪। পাইকারি দামে পাওয়া যায়।
৫। প্রয়োজনীয় সময়ে হাতের কাছে দরকারি পণ্য পাওয়া যায়।
৬। পূর্বে সবকিছু মজুদ থাকলে মানসিক শান্তি অনুভব হয়।

একক কাজ
ছক অনুযায়ী তোমার পরিবারের আগামী এক সপ্তাহের নিত্যব্যবহার্য পণ্যের একটি তালিকা তৈরি করো। এক সপ্তাহে কোন পণ্য কী পরিমাণে লাগবে তা হিসেব করো। বর্তমানে প্রতিটি পণ্য কী পরিমাণে আছে তা বের করো। এক সপ্তাহের জন্য প্রতিটি পণ্যের আর কী পরিমাণ ক্রয় করতে হবে তা বের করো। প্রতিটি পণ্য ক্রয়ে কতো টাকার প্রয়োজন হবে তা বের করো। (কাজটি অভিভাবকের সহায়তায় করতে হবে। ছকটি জীবন ও জীবিকা খাতায় লিখে নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঘর তৈরি করো এবং সেখানে তথ্যগুলো লেখো।)

৭ ও ৮ নং পৃষ্ঠার একক কাজের ছকের সমাধান/উত্তর:

  • ছক: ১.৩: সাপ্তাহিক পারিবারিক মজুদ পরিকল্পনা
সাপ্তাহিক পারিবারিক মজুদ পরিকল্পনা



বিস্তারিত উত্তর পেতে নিচের পিডিএফ টি ডাউনলোড করে নিন।




অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ, অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ, অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ, অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ অধ্যায় সমাধান ২০২৪ পিডিএফ

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!